
রংপুর সদর উপজেলার মমিনপুর রেজানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক তারাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে প্রতিষ্ঠানের গাছ উত্তোলন ও বিক্রির অভিযোগ তোলায় ১ নং মমিনপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্যের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তারাজুল ইসলাম বিদ্যালয়ের সরকারি জমিতে থাকা ৫ টি ইউক্যালেকটার গাছ যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই গোপনে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। গাছের গোড়ার অংশ বা শিকর এখনো বিদ্যমান এবং স্থানীয় লোকজন ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এর সত্যতা স্বীকার করেছেন।
উত্তোলনকৃত ৫ টি ইউক্যালেকটার গাছের আনুমানিক বাজার মূল্য অর্ধলাখ টাকারও বেশি বলে দাবি স্থানীয়দের। বিদ্যালয়ের গাছ কাটতে হলে বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির রেজুলেশন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়ার কথা থাকলেও নিয়মবহির্ভূতভাবে বিদ্যালয়ের গাছ কেটে বিক্রির টাকা আত্মসাৎ করছে।
বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক তারাজুল ইসলাম সরকারি নিয়ম-নীতি তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে প্রতিষ্ঠানের গাছ উত্তোলন ও বিক্রির বিষয়টি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানান ৪নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ইউনুস মেম্বার। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে সরজমিনে তদন্তে আসেন সদর কোতয়ালী থানা পুলিশ। এর প্রেক্ষিতে গত ২৫ মে রবিবার বিকেলে ৪ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ইউনুস মেম্বার উপর হামলা করে এলোপাথাড়িভাবে কিল-ঘুষি ও মারপিট করেন অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক ও তার ছেলে সম্রাট সহ তার লোকজন অনেকেই।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অত্র প্রতিষ্ঠানটি নামে সরকারি স্কুল হলেও নেই মানসম্মত অবকাঠামো স্থাপনা, বিদ্যালয়ের মাঠেই জমে রয়েছে কাঁদা ও পানি, কয়েকটি ক্লাস রুমের নেই দরজা ও জানালা এবং অবৈধভাবে স্কুলের গাছগুলো কাটার পর আড়াল করার জন্য মাটি ও ময়লা আর্বজনা দিয়ে ভরাট করে লতাপাতা দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। যাতে মানুষের নজরে না আসে।
অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক ও তার ছেলে সম্রাট সহ তার লোকজন কর্তৃক ৪ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ইউনুস মেম্বার উপর হামলা ও মারপিট করায় এর প্রতিকার চেয়ে সদর কোতোয়ালি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করে তিনি
ভুক্তভোগী ৪ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোঃ ইউনুস আলী জানান, স্কুলের সরকারি গাছ সহকারী শিক্ষক গোপনে উত্তোলন ও বিক্রির টাকা আত্মসাৎ এর বিষয়ে আমাকে মারপিট করা হয়েছে, অভিযুক্তদরে নামে আমি সদর কোতোয়ালি থানায় একটি অভিযোগ করছি। আমরা এর সুস্থ তদন্ত সাপেক্ষে দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি চাই।
অভিযুক্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক তারাজুল ইসলাম তারা’র সঙ্গে কথা বলতে তার নাম্বারে একাধিকবার কল করা হলেও সংযোগ করা সম্ভব হয় না, নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।
এবিষয়ে কোতয়ালী (সদর) থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, আমরা এবিষয়টি অবগত রয়েছি, দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।ই। ।। । ।র । র।
অনুসন্ধানী সংবাদ ডেস্ক নিউজ 












