
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার ইকরচালি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী বিনা নোটিশে চেয়ার দখল করার অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে আবু সাইদ হত্যা মামলায় অপারেশন ডেভিল্ড হান্ট অভিযানে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ঐ মামলায় প্রায় ২ মাস হাজত বাস করেন সম্প্রতি জামিনে বের হয়ে পুনরায় চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।
আবু সাঈদ হত্যা মামলার আসামি ইদ্রিস আলী এর আগে আওয়ামী লীগের ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এছাড়াও আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কায় প্রতীক নিয়ে ২০১৬ সালে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন করেন কিন্তু তিনি ঐ সময় সামান্য কিছু ভোটে হেরে যান। তখন থেকেই আওয়ামী লীগের প্রভাব দেখিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের সকল প্রকার প্রকল্পে অনিয়ম করে আসছেন।
পরবর্তীত নির্বাচনে সতন্ত্র হয়ে আওয়ামী লীগের নেতাদের ছত্রছায়ায় নির্বাচন করে জয় লাভ করেন। তিনি বদরগঞ্জ- তারাগঞ্জ ২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আহসানুল হক চৌধুরীর ডিউকের আস্থাভাজন ছিলেন ।
ইকরচালি ইউনিয়ন পরিশোধ সদস্য তাজ উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, জেলে থাকার পরেও প্রভাব খাটিয়ে তার শ্যালকের মাধ্যমে ৯০ বস্তা চালের সিলিপ নিয়ে অবৈধভাবে বিক্রি করার সময় ধরা পড়েন পিআইও ও ইউএনওর কাছে। এর আগে ভি ডব্লিউ, মাটিকাটা, ৪০ দিন কর্মসূচি, প্রকল্পের টাকা লুটপাট,বিনা অনুমতিতে ট্যাক্সের টাকার অনিয়ম, জিআর প্রকল্পের অনেক রকম অনিয়মের অভিযোগ এই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
এছাড়া অন্য সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, চেয়ারম্যান বিনা অনুমতিতে চেয়ার দখল করায় আমরা ক্ষুব্ধ। নিয়ম নীতি না মেনে এইভাবে দখল মাধ্যমে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছেন চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী। আওয়ামী লীগের সময়ের ব্যাপক প্রভাবের কারণে আমরা কোন বরাদ্দ পাইনি। তিনি নিজের মতো করে সব আত্মসাৎ করেছেন। এখন তিনি কিভাবে আওয়ামী লীগের ক্যাডার বাহিনী নিয়ে চেয়ার দখল করলেন। এখনও দেশে কি আইন নেই।
বর্তমান দায়িত্বে থাকা ইকরচালি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সাইদুল ইসলাম তিনি জানান, অপারেশন ডেভিল্ড হান্টে চেয়ারম্যান ধরে নিয়ে যাওয়া পর কারা বাস হয় তারপর আমাকে এর আগে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা সকল মেম্বারদের সামনে আলোচনা করে লিখিত ভাবে প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব প্রদান করেন, আমি সুন্দর ভাবে ইউনিয়ন সেবা পরিচালনা করে আসতেছি কিন্তু জামিন নিয়ে আসা চেয়ারম্যান হঠাৎ করে দলবল নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে এসে চেয়ার দখল করেন।
এই সময়ে আমি উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা কাছে বিষয়টি অবগত করি কিন্তু তিনি বললেন ওনার চেয়ার ওনাকে বসতে দেন। আমি জনতে চাইলাম স্যার আমার কাছে লিখিত অনুমতি দিয়ে চেয়ারে বসালেন অবশ্যই চেয়ারম্যানের অনুমতি লাগবে না তাকে স্ব পদে কি ভাবে বসালেন।
বিষয়টি নিয়ে ইকরচালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলীর সঙ্গে একাধিক বার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি ।
এ বিষয়ে তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল রানা বলেন, ইকরচালি ইউনিয়নের ইদ্রিস আলী চেয়ারম্যান কে কোনরকম সাময়িক বরখাস্ত করা হয়নি, বা তার বিরুদ্ধে কোন রকম অভিযোগ নেই চেয়ারে না বসার। তাই তিনি চেয়ারে বসতে কোনরকম বাধা নেই। উনি না আসা পর্যন্ত প্যানেল চেয়ারম্যান কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এখন তিনি এসেছেন তাই তার চেয়ারে তিনি বসেছেন বলে জানান তিনি।
অনুসন্ধানী সংবাদ ডেস্ক নিউজ 












