রংপুরে আওয়ামী লীগ চক্র কর্তৃক তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এর মতবিনিময়ে বিশৃংখলাকারীদের শাস্তির ও প্রেসক্লাব,রংপুরকে বৈষম্যমুক্ত করার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করে বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিক আন্দোলন,রংপুর।  এতে তুলে ধরা হয় প্রেসক্লাবের  দীর্ঘ দিন ধরে করে আসা নানাবিধ  বৈষম্য বিষয়। সেই সাথে প্রতিবাদ ও প্রতিকার চাওয়া হয়। বক্তারা বলেন, প্রধান উপদেষ্টা, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বরাবরে ইতিমধ্যে  স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। রংপুর বিভাগীয় কমিশনার, সমাজসেবা রংপুর বিভাগীয় কর্মকর্তা ও সমাজসেবা জেলা কার্যালয়েও লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে প্রতিকার চেয়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা। প্রেস ইনফরমেশন ডিপার্টমেন্ট পিআইডি,জেলা তথ্য ও সম্প্রচার অধিদপ্তর, পুলিশ কমিশনার আরপিএমপি, কোতয়ালী থানাসহ অসংখ্য দপ্তরে দপ্তরে গিয়ে বিচার চেয়ে আসে বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিক আন্দোলন । প্রেসক্লাব,রংপুরের দীর্ঘ দিন ধরে চলে আসা ফ্যাসিবাদি কর্মকাণ্ড বিতাড়িত করে প্রেসক্লাব,রংপুরকে বৈষম্যমুক্ত করার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে আসতে থাকা অবস্থায় গত ১২অক্টোবর তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম রংপুর সফরে আসলে তার নিকট সরাসরি প্রতিকার দাবি করে। রংপুর জেলায় কর্মরত সকল সাংবাদিকদের মতবিনিময় অনুষ্ঠান হয়। যা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসক রবিউল ফয়সালের সভাপতিত্বে মতবিনিময় শুরু হয়। এতে উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বক্তব্য রাখেন বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিক আন্দোলন এর প্রধান সমন্বয়ক এসএম জাকির হুসাইন ও সদস্য গোলজার রহমান আদর। এসময় মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী ও প্রেসক্লাব,রংপুরের অবৈধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মেরিনা লাভলীর নির্দেশে অপর দোসরদের মধ্যে সাব্বির আরিফ মোস্তফা পিয়াল,ফরহাদুজ্জামান ফারুক,মোশারফ হোসেন রাজু, ভাড়াটে দালাল ইসমাইল হোসেন প্রিন্সসহ অজ্ঞাত আরও ৩/৪জন একযোগে কন্ঠরোধ করে হামলা চালায়। এতে উপদেষ্টা,জেলা প্রশাসকসহ আয়োজকদের অনেকেই প্রেসক্লাবের হট্টগোলকারি, হামলাকারীদের শান্ত, থামানোব চেষ্টা করেও ব্যর্থ হলে সংবাদ সম্মেলন স্থল ত্যাগ করে সকলে চলে যান। এ ঘটনার প্রত্যক্ষ চাক্ষুষ স্বাক্ষী, সম্মেলনে উপস্থিত একাধিক টেলিমিডিয়া, প্রিন্ট, অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকরা। এ হট্টগোল ও হামলায় আহত সাংবাদিক জাকির  রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। পরে কিছুটা সুস্থ হলে রংপুর মেট্রো কোতোয়ালি থানায় সাংবাদিক জাকির বাদি হয়ে ৫জনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাতনামা ২জনকে আসামি করে এজাহার দেয়। অদৃশ্য কারনে এ ঘটনায় নিয়মিত মামলা না নিয়ে জিডি হিসেবে গ্রহন করেন ইনচার্জ। উপদেষ্টার মতবিনিময় ভুন্ডলকারি ফ্যাসিস্ট ও বৈষম্যকারিরা বিচলিত হয়ে পড়লে রংপুরের ৭টি সাংবাদিক সংগঠনের নাম ব্যবহার করে,কতেককে প্রেসক্লাবে চায়ের দাওয়াত দিয়ে এনে জড়ো করে বিভ্রান্তিকর সংবাদ সম্মেলন করে। সম্মেলনে উপস্থাপিত যাবতীয় তথ্য মিথ্যা,  বানোয়াট ও চরম ধৃষ্টতাসহ বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারণা করে আসছে। এ সকল অবৈধ কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিক আন্দোলন সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, অনতিবিলম্বে এ ঘটনার বিচার করতে হবে। সেই সাথে প্রেসক্লাব,রংপুরকে বৈষম্যমুক্ত করতে আওয়ামী লীগ দোসরদের হটিয়ে জেলায় কর্মরত সকল সাংবাদিক সম্পাদকদের জন্য উম্মুক্ত জরুরি। সাংবাদিকদের জন্য দেয়া সরকারি জায়গা, বিল্ডিংসহ সরকারি অর্থের সঠিক ব্যবহার করে যথাযথ কল্যান পৌঁছাতে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহন করার দাবি জানান। উল্লেখ্য যে সংবাদ সম্মেলন করবার যখন প্রস্তুতি নিচ্ছিল।  ঠিক তখনি বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিক আন্দোলন এর সহ সমন্বয়ক সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম এর ওপর প্রেসক্লাব,রংপুর চত্বরে হামলা চালায় আওয়ামীলীগ নেত্রী মেরিনার স্বামী সাব্বির আহমেদ। এসময় কৌশলে পালিয়ে আত্নরক্ষা করেন শহিদুল। তাকে এও হুমকি দেয়া হয়। যদি আবারও প্রেসক্লাব এলাকায় শহিদুলকে দেখা যায়, তবে তার অবস্থা খারাপ করে দিবে হুমকি দেয় সাব্বির ও তার সাথে থাকা অজ্ঞাত ২ ব্যাক্তি। প্রতিবাদ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, প্রধান সমন্বয়ক সদস্য সাংবাদিক শরীফা বেগম শিউলী, সহ সমন্বয়ক রবিন চৌধুরী রাসেল,  শিল্পী আখতার, আতিকুর রহমান আতিকসহ বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিক আন্দোলন এর নেতৃবৃন্দ।