Dhaka 5:55 am, Monday, 17 November 2025

তিস্তাসহ অভিন্ন ৫৪ নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে রংপুরে মানববন্ধন ও সমাবেশ

 

তিস্তাসহ অভিন্ন ৫৪ নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় এবং বন্যা ও নদীভাঙ্গন সমস্যার স্থায়ী সমাধানের দাবিতে ৬ অক্টোবর ২০২৪ রবিবার সকাল ১১ টায় রংপুরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে “তিস্তা  বাঁচাও আন্দোলন” এর উদ্যোগে মানববন্ধন-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

“তিস্তা বাঁচাও আন্দোলন” এর আহবায়ক সাবেক ছাত্রনেতা এডভোকেট পলাশ কান্তি নাগ এর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন  সংগঠনের সদস্য রেদোয়ান ফেরদৌস, সবুজ রায়,হীরা লাল বর্মন, ভুক্তভোগী আরমান হোসেন দুলু,তারা মিয়া প্রমুখ।

সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তৃতা করেন রংপুর সিটি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির মানিক।

বক্তারা বলেন, ভারত সরকার একতরফাভাবে তিস্তার পানি প্রত্যাহার করে আন্তর্জাতিক নদী আইন লংঘন করেছে। তারা আমাদের সাথে বৃহৎ রাষ্ট্রসুলভ আচরণ করছে, সাম্রাজ্যবাদী ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছে। এই অবস্থা শুধু তিস্তার ক্ষেত্রেই নয় ভারত থেকে আসা ৫৪ টি নদীর পানি প্রবাহ তারা একইভাবে নিয়ন্ত্রণ কিংবা অন্যায়ভাবে প্রত্যাহার করছে।

স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে আজ পর্যন্ত সমস্ত শাসকদলগুলি যারা ক্ষমতায় ছিল- কেউ বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থের কথা বিবেচনা করেনি। পানি সম্পদ রক্ষার কথাও চিন্তা করেনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলির মতো সাম্রাজ্যবাদী ভারতের শাসকদের সাথে নতজানু ও অন্যায় সমঝোতা করে চলছিলো দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে।

বক্তারা আরো বলেন, ভারতের পানি আগ্রাসনের কারণে একবার আমরা বন্যার পানিতে ডুবছি  আরেকবার খরায় পুড়ছি। তিস্তা পাড়ের মানুষের  জীবন প্রকৃতি আজ ধ্বংসের মুখে। নদীতে পানি প্রবাহ দূর্বল থাকায় বালু পড়ে নদীগর্ভ বালু দিয়ে ভরাট হচ্ছে। ফলে এই বর্ষায় নদীভাঙ্গন ও বন্যার কবলে পড়ে হাজার হাজার একর জমি নদী গর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে, ফসল, ঘরবাড়ি, জনপদ ভেসে যাচ্ছে।

ভারত কর্তৃক একতরফা পানি প্রত্যাহারের কারণে উত্তরাঞ্চলের প্রায় ২ কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা বিপন্ন। গোটা অঞ্চলের কৃষি-মৎস্য সম্পদ,পরিবেশ-প্রকৃতি বিপর্যস্ত।

বক্তারা বলেন, প্রতিবছর বন্যায় আমরা রিলিফ চাই না, আমরা তিস্তা চুক্তির বাস্তবায়ন চাই। বক্তারা, তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ দাবি করেন।

সেইসাথে তিস্তাসহ অভিন্ন ৫৪ নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় না হওয়া পর্যন্ত সর্বস্তরের মানুষকে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলনে শামিল থাকার আহবান জানান।

Popular Post

তিস্তাসহ অভিন্ন ৫৪ নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে রংপুরে মানববন্ধন ও সমাবেশ

Update Time : 02:35:37 pm, Sunday, 6 October 2024

 

তিস্তাসহ অভিন্ন ৫৪ নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় এবং বন্যা ও নদীভাঙ্গন সমস্যার স্থায়ী সমাধানের দাবিতে ৬ অক্টোবর ২০২৪ রবিবার সকাল ১১ টায় রংপুরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে “তিস্তা  বাঁচাও আন্দোলন” এর উদ্যোগে মানববন্ধন-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

“তিস্তা বাঁচাও আন্দোলন” এর আহবায়ক সাবেক ছাত্রনেতা এডভোকেট পলাশ কান্তি নাগ এর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন  সংগঠনের সদস্য রেদোয়ান ফেরদৌস, সবুজ রায়,হীরা লাল বর্মন, ভুক্তভোগী আরমান হোসেন দুলু,তারা মিয়া প্রমুখ।

সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তৃতা করেন রংপুর সিটি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির মানিক।

বক্তারা বলেন, ভারত সরকার একতরফাভাবে তিস্তার পানি প্রত্যাহার করে আন্তর্জাতিক নদী আইন লংঘন করেছে। তারা আমাদের সাথে বৃহৎ রাষ্ট্রসুলভ আচরণ করছে, সাম্রাজ্যবাদী ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছে। এই অবস্থা শুধু তিস্তার ক্ষেত্রেই নয় ভারত থেকে আসা ৫৪ টি নদীর পানি প্রবাহ তারা একইভাবে নিয়ন্ত্রণ কিংবা অন্যায়ভাবে প্রত্যাহার করছে।

স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে আজ পর্যন্ত সমস্ত শাসকদলগুলি যারা ক্ষমতায় ছিল- কেউ বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থের কথা বিবেচনা করেনি। পানি সম্পদ রক্ষার কথাও চিন্তা করেনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলির মতো সাম্রাজ্যবাদী ভারতের শাসকদের সাথে নতজানু ও অন্যায় সমঝোতা করে চলছিলো দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে।

বক্তারা আরো বলেন, ভারতের পানি আগ্রাসনের কারণে একবার আমরা বন্যার পানিতে ডুবছি  আরেকবার খরায় পুড়ছি। তিস্তা পাড়ের মানুষের  জীবন প্রকৃতি আজ ধ্বংসের মুখে। নদীতে পানি প্রবাহ দূর্বল থাকায় বালু পড়ে নদীগর্ভ বালু দিয়ে ভরাট হচ্ছে। ফলে এই বর্ষায় নদীভাঙ্গন ও বন্যার কবলে পড়ে হাজার হাজার একর জমি নদী গর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে, ফসল, ঘরবাড়ি, জনপদ ভেসে যাচ্ছে।

ভারত কর্তৃক একতরফা পানি প্রত্যাহারের কারণে উত্তরাঞ্চলের প্রায় ২ কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা বিপন্ন। গোটা অঞ্চলের কৃষি-মৎস্য সম্পদ,পরিবেশ-প্রকৃতি বিপর্যস্ত।

বক্তারা বলেন, প্রতিবছর বন্যায় আমরা রিলিফ চাই না, আমরা তিস্তা চুক্তির বাস্তবায়ন চাই। বক্তারা, তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ দাবি করেন।

সেইসাথে তিস্তাসহ অভিন্ন ৫৪ নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় না হওয়া পর্যন্ত সর্বস্তরের মানুষকে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলনে শামিল থাকার আহবান জানান।