
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশেষ অভিযানে নীলফামারীতে দ্ধিতীয় দফায় আওয়ামী লীগের ১৬ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) রাতে ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এ নিয়ে জেলায় মোট ৩০ জনকে গ্রেফতার করা হলো।
সদর থানার ওসি এম আর সাঈদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে আসামিদের বিকালে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের পিতা মৃত আফসার উদ্দিনের ছেলে আনোয়ারুল হক (৬৫), জেলার জলঢাকা উপজেলার খালিশা খুটামারা গ্রামের রোস্তম আলীর ছেলে মানিক হোসেন (২৫), একই গ্রামের নমির উদ্দিনের ছেলে হেলাল হোসেন (৪২), জলঢাকা উপজেলার ধর্মপাল গ্রামের মমিনুর রহমানের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৩৭), নীলফামারী সদরের গোড়গ্রাম ইউনিয়নের নজরুল ইসলামের ছেলে রুবেল ইসলাম (২৬), একই ইউনিয়নের নুরুল ইসলামের ছেলে গোলাম মোস্তফা (২৬), নীলফামারী পৌর শহরের কুখাপাড়া মহল্লার কমল কুমার রায়ের ছেলে বিলাস চন্দ্র বর্মণ (৪২), জলঢাকা উপজেলার পশ্চিম বালাগ্রাম ইউনিয়নের ফজলুর রহমানের ছেলে ও যুবলীগ সদস্য সোহেল রানা (২১), একই ইউনিয়নের খগেন্দ্র নাথ রায়ের ছেলে ও শ্রমিকলীগ সদস্য প্রমথ কুমার রায় (৪৫)।
এছাড়াও, ডোমার উপজেলার খচিমাদা গ্রামের সমসের আলীর ছেলে ও আওয়ামী লীগ সমর্থক জিয়াউর রহমান (৪৪), একই উপজেলার মাথাভাঙ্গা গ্রামের মিলন হোসেনের ছেলে ও আওয়ামী লীগ সমর্থক আরিফ হোসেন (২৫), পশ্চিম মাথাভাঙ্গা গ্রামের মহফেল উদ্দিনের ছেলে ও আওয়ামী লীগ সমর্থক মিজানুর রহমান (৫৮), জলঢাকা উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের আজিজার রহমানের ছেলে ও আওয়ামী লীগ সমর্থক জনি মিয়া (৪২), একই উপজেলার কাঠাঁলী ইউনিয়নের পশ্চিম কাঁঠালী গ্রামের পিতা মৃত জমির উদ্দিনের ছেলে ও আওয়ামী লীগ সমর্থক সেলিম হোসেন (৩৮), উপজেলার বালাগ্রাম ইউনিয়নের পিতা মৃত গোপাল চন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে ও আওয়ামী লীগ সমর্থক রতন চন্দ্র বিশ্বাস (৩০), ডিমলা উপজেলার আমরুল বাড়ি গ্রামের পিতা মৃত তালিবুর রহমানের ছেলে জুয়েল ইসলাম (৪১)।
নীলফামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আর সাঈদ বলেন, ‘জলঢাকা, ডোমার, ডিমলা, কিশোরীগঞ্জ ও সদরে বিশেষ অভিযানে মোট এ পর্যন্ত ৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অপরাধে মামলা রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটি হত্যা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূরসহ আ.লীগের ৪১ জন ও আজ দ্বিতীয় দফায় ৩০ জনসহ সর্বমোট ৭১ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হলো।’
অনুসন্ধানী সংবাদ ডেস্ক নিউজ 












