Dhaka 6:56 am, Monday, 17 November 2025

রংপুরে দীর্ঘ সাত বছর অপেক্ষার পরেও দেখতে পেল না নিজ সন্তানের মুখ

প্রবাসী স্বামীর ৯ বছরের জমানো অর্থ ও স্বর্ণালংকার নিয়ে প্রেমিকার হাত ধরে নাছরিন নামে এক গৃহবধূ উধাও হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। নাছরিন মিঠাপুকুর  উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের হয়বতপুর  গ্রামের রেজাউল ইসলামের  স্ত্রী। তাদের রাইশা নামের  একটি কন্যা সন্তান রয়েছে ।

প্রবাস জীবনের সকল আয়ের টাকা পাঠান তার স্ত্রীকে কাছে। অপরদিকে স্বামী বিদেশ থাকাবস্থায় অজ্ঞাত কারো সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে তার হাত ধরে পালিয়ে সন্তান রাইশা সহ পালিয়ে যান নাছরিন। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন বিচার-সালিস, অভিযোগ করেও কোন খোঁজ-খবর ও দেখা মিলেনি সন্তান রাইশার সঙ্গে।

এ ব্যাপারে রেজাউলের মা রুপালী বেগম বাদী হয়ে মিঠাপুকুর  থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ বছর পূর্বে রেজাউল  বিয়ে করেন পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের হযরতপুর গ্রামের জাইদুল হকের মেয়ে নাছরিনকে। বিয়ের পর এক সন্তানের জনক হন রেজাউল ইসলাম । গত ৯ বছব পূর্বে ৪ মাস বয়সি মেয়ে রাইশাকে রেখে মালয়েশিয়ায় যান রেজাউল ইসলাম।  প্রবাস জীবনের সকল আয় করা  টাকা তার স্ত্রীকে দেন। অপরদিকে স্বামী বিদেশ থাকাবস্থায় অজ্ঞাত কারো সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে তার হাত ধরে পালিয়ে সন্তান সহ পালিয়ে যান নাছরিন।

খবর পেয়ে রেজাউল ইসলাম  মালয়েশিয়া থেকে বাড়িতে আসেন। কয়েক বছর ধরে তিনি মেয়ে রাইশাকে এক নজর দেখতে বাংলাদেশের সবখানে খুজে ফিরে অবশেষে না পেয়ে আবারো মালয়েশিয়া ফিরে যান।

রেজাউলের বাবা মিজানুর রহমান কান্যা জড়িত কন্ঠে বলেন, দেনদরবার করে টাকা পয়সা স্বর্ণাঅলংকার সব ফেরত দিতে চেয়েছিলেন নাছরিনের পরিবার। পরে দিতে অস্বিকৃতি জানিয়েছেন। আমাদের টাকা পয়সা দরকার নাই। আমার নাতনির এখন সাত বছর বয়স হয়েছে।আমরা তাকে ভালো পরিবেশে রাখতে  আইনগত অভিভাবক হতে চাই। কিন্তু আজ পর্যন্ত জানি না আমার নাতনি বেঁচে আছে নাকি মারা গেছে। নাছরিনের পরিবার আমাদের কখনও মোবাইল নাম্বার কিংবা ঠিকানা দিচ্ছেন না।

Popular Post

রংপুরে দীর্ঘ সাত বছর অপেক্ষার পরেও দেখতে পেল না নিজ সন্তানের মুখ

Update Time : 07:29:06 pm, Monday, 25 November 2024

প্রবাসী স্বামীর ৯ বছরের জমানো অর্থ ও স্বর্ণালংকার নিয়ে প্রেমিকার হাত ধরে নাছরিন নামে এক গৃহবধূ উধাও হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। নাছরিন মিঠাপুকুর  উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের হয়বতপুর  গ্রামের রেজাউল ইসলামের  স্ত্রী। তাদের রাইশা নামের  একটি কন্যা সন্তান রয়েছে ।

প্রবাস জীবনের সকল আয়ের টাকা পাঠান তার স্ত্রীকে কাছে। অপরদিকে স্বামী বিদেশ থাকাবস্থায় অজ্ঞাত কারো সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে তার হাত ধরে পালিয়ে সন্তান রাইশা সহ পালিয়ে যান নাছরিন। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন বিচার-সালিস, অভিযোগ করেও কোন খোঁজ-খবর ও দেখা মিলেনি সন্তান রাইশার সঙ্গে।

এ ব্যাপারে রেজাউলের মা রুপালী বেগম বাদী হয়ে মিঠাপুকুর  থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ বছর পূর্বে রেজাউল  বিয়ে করেন পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের হযরতপুর গ্রামের জাইদুল হকের মেয়ে নাছরিনকে। বিয়ের পর এক সন্তানের জনক হন রেজাউল ইসলাম । গত ৯ বছব পূর্বে ৪ মাস বয়সি মেয়ে রাইশাকে রেখে মালয়েশিয়ায় যান রেজাউল ইসলাম।  প্রবাস জীবনের সকল আয় করা  টাকা তার স্ত্রীকে দেন। অপরদিকে স্বামী বিদেশ থাকাবস্থায় অজ্ঞাত কারো সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে তার হাত ধরে পালিয়ে সন্তান সহ পালিয়ে যান নাছরিন।

খবর পেয়ে রেজাউল ইসলাম  মালয়েশিয়া থেকে বাড়িতে আসেন। কয়েক বছর ধরে তিনি মেয়ে রাইশাকে এক নজর দেখতে বাংলাদেশের সবখানে খুজে ফিরে অবশেষে না পেয়ে আবারো মালয়েশিয়া ফিরে যান।

রেজাউলের বাবা মিজানুর রহমান কান্যা জড়িত কন্ঠে বলেন, দেনদরবার করে টাকা পয়সা স্বর্ণাঅলংকার সব ফেরত দিতে চেয়েছিলেন নাছরিনের পরিবার। পরে দিতে অস্বিকৃতি জানিয়েছেন। আমাদের টাকা পয়সা দরকার নাই। আমার নাতনির এখন সাত বছর বয়স হয়েছে।আমরা তাকে ভালো পরিবেশে রাখতে  আইনগত অভিভাবক হতে চাই। কিন্তু আজ পর্যন্ত জানি না আমার নাতনি বেঁচে আছে নাকি মারা গেছে। নাছরিনের পরিবার আমাদের কখনও মোবাইল নাম্বার কিংবা ঠিকানা দিচ্ছেন না।