
গত কয়েকদিনের টানা ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদী বেষ্টিত রংপুরের গংগাচড়া উপজেলার নয়টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়। পানি কমতে শুরু করলে উপজেলার নয়টি ইউনিয়নের দেখা দেয় তীব্র ভাঙ্গন , ঘরবাড়ি হারায় বেশ কিছু পরিবার। তিস্তার করাল গ্রাস আর চরম দারিদ্রতার মাঝে পরে তিস্তা পরে শত শত পরিবার। এই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে এসে দাঁড়ায় এই সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “হার্ট অফ হিউম্যানিটি” ( মানবতার হৃদয়) ৮-ই অক্টোবর গঙ্গাচড়া মহিপুর ব্রিজের পাশে বেশ কিছু পারিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেয় এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি। এসব খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ছিল চাল,ডাল,তেল,লবন,আলু সহ প্রয়োজনীয় খাদ্য দ্রব্য।
তিস্তার হঠাৎ পানি-বারা আর পানি কমার যে নাটকীয়তা তার মধ্যে তৈরি হওয়া তিস্তা পাড়ের মানুষের মনে ক্ষত আর দারিদ্রতা যেনো পৌঁছায় চরমে। এমন অবস্থায় এই খাদ্য সামগ্রি পেয়ে খুশি এই তিস্তা পাড়ের মানুষরা।
করোনা মহামারি থেকে মাঠে এই সংগঠনের স্বরপ প্রস্তুতি ছিলো। অসহায় মানুষ থেকে শুরু করে পথশিশুদের, নিয়ে এই সংগঠনের কার্যক্রমে বাদ ছিলোনা শীতাত্ম মানুষদের পাশে দাঁড়ানো। তবে হঠাৎ কিছু কারণবশত তাদের কার্যক্রম স্থগিত হয়ে গেলেও, আন্দোলন থেকে শুরু করে মাঠে কাজ করে ছিলো। আবারো তারা ফিরেছে নতুন উদ্যমে । গত কয়েকদিন আগের বন্যায় ত্রাণ দিয়েছিল কুড়িগ্রামের প্লাবিত অঞ্চল গুলোতে এবার দিলো তিস্তা পারে। তাদের এমন কার্যক্রম চলমান থাকবে বলেও বলছেন এই সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবী।
এসময় কাজী রেদওয়ান, ফজলুল আলম, ইমরান কবির,আকাশ বর্মন, আরাফাত ইসলাম, জাকিয়া ইয়াসমিন,, রিদিতা জাহান প্রিয়া, সিদরাতুলমুনতাহা, সহ উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটিল আরও অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবীরা।
মানুষের হৃদয়ে যায়গা করে নেয়া এই সংগঠনটি ফিরেছে নতুন উদ্যমে নতুন নামে “হার্ড অফ হিউম্যানিটি” ( মানবতার হৃদয়)।
আকাশ চন্দ্র পাপ্পু, রংপুর 












