
রংপুর সদর উপজেলা প্রতিনিধি:রংপুর সদর উপজেলার হরিদেবপুর ইউনিয়ন পরিষদে জটিলতা তৈরি হওয়ায় সেবা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
একসময় গতিশীল এই পরিষদে সকালেই কাজ সম্পন্ন হতো, সহজে সরকারি সেবা পেত সাধারণ মানুষ। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে ঘিরে ইউপি সদস্যদের অনাস্থা ও পাল্টা অনাস্থার ঘটনায় পরিষদের কার্যক্রমে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।
গত বছর চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন পদত্যাগ করলে প্যানেল চেয়ারম্যান-১ হিসেবে দায়িত্ব নেন ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ চান মিয়া। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তিনি কার্যালয়ে নিয়মিত বসে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর ভাতা, সরকারি কর্মসূচি ও উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন সেবা দ্রুত ও কার্যকরভাবে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেন। এতে জনগণ সন্তুষ্ট থাকলেও সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে আট ইউপি সদস্য অনাস্থার প্রস্তাব উত্থাপন করেন।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর মাধ্যমে সদর উপজেলা পরিষদে ভোটাভুটিতে আট সদস্য তার অপসারণে মত দেন। বিধি অনুযায়ী প্যানেল চেয়ারম্যান-২ শওকত হোসেন যাদু মিয়ার দায়িত্ব পাওয়ার কথা থাকলেও তার বিরুদ্ধেও সাত সদস্য অনাস্থা আনেন। ফলে নিয়ম অনুযায়ী প্যানেল চেয়ারম্যান-৩ মোছাঃ রনজিনা খাতুন আদুরীর দায়িত্ব নেওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তবে শোনা যাচ্ছে, তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করলে প্যানেলের বাইরে অন্য কোনো সদস্যকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব লিখে দিতে পারেন। এতে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়ছে।
এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গন ও স্থানীয় জনগণের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। সদর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মহিউদ্দিন মখদুমী বলেন, “চেয়ারম্যানকে ঘিরে ইউপি সদস্যদের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে। এর ফলাফল কিছু হবে না। শেষ পর্যন্ত প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারে কর্তৃপক্ষ।”
সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহ মোঃ মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন এবং হরিদেবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সৈয়দ রাসেল জানান, তারা বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) দুলাল মিয়া বলেন, “বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
অচলাবস্থা অব্যাহত থাকলে হরিদেবপুর ইউনিয়ন পরিষদের জনগণ সেবা থেকে বঞ্চিত হবেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।